ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

উৎপাদিত সবজি পরিবহনে চাঁদা আদায় কৃষকদের ওপর জুলুম

 কৃষক আবদুর রাজ্জাক, চকরিয়া ::

বর্ষায় সমতল থেকে লামার পাহাড়ে গিয়ে সবজি চাষ করে অনেক কৃষক সফল হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চকরিয়ার কাকারার কৃষক আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘এতে প্রতিবছরই সবজি আবাদ দ্বিগুণ-তিনগুণ হারে বাড়ছে। স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙালি লোকজন প্রতিদিনের কাজ নিশ্চিত হওয়ায় দারুণ খুশি। কারণ এই সময় তাঁরা বেকার থাকতেন।’

কিন্তু এলাকার কৃষি কর্মকর্তার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সহযোগিতা পাননি উল্লেখ করে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘তাঁদেরকে অবহিত করার পরও সাড়া মেলেনি। এটি কৃষকদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। কৃষকরা শিক্ষিত নন, এক্ষেত্রে সবজি আবাদে তাঁদের সহযোগিতা পেলে কীটনাশক, বীজ বাছাই ও সার প্রয়োগ করে আরও উন্নত ফলন করা যেত। এমনকি বিষমুক্ত সবজি চাষ করে রপ্তানি করাও যেতো। কিন্তু সেই বিশাল সম্ভাবনা হাতছাড়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সবজি চাষ করার পরও টোল আদায় নিয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। লামার রূপসি পাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ছোট গাড়িতে ৫০০ টাকা এবং বড় গাড়িতে ৮০০ টাকা টোল আদায়ের কোনো যুক্তি নেই। প্রতি গাড়িতে ১০০ টাকা নিলেই চলে।’

‘আর কুমারিপাড়ায় বান্দরবান জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে ছোট গাড়িতে ৭০০ টাকা এবং ২/৩ টনের ট্রাকে ১১০০ টাকা। এই টোল আদায় হচ্ছে কোনো স্লিপ বা রসিদ ছাড়াই। তাহলে সরকারের কোষাগারে টাকাটা তো জমা হচ্ছে না। এটা জুুলুমি ছাড়া কিছুই নয়। এছাড়া তাদের দেখাদেখি নতুন করে লামা পৌরসভার পক্ষ থেকে টোল আদায়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’-যোগ করেন এই কৃষক।

উদাহরণ দিয়ে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘একটি ছোট গাড়ি সবজি ভর্তি করে লামা থেকে বের হতে ১২০০ টাকা টোল দিতে হলে কৃষক-আড়তদার কেউই আগামীতে সবজি চাষে আগ্রহী হবেন না। কারণ আড়তদার সবজি কিনতে গেলে এই টোলের টাকা যোগ করেই কেজিপ্রতি সবজির দাম হিসাব কষবেন। আর কৃষক সবজি উৎপাদন করলেও দাম কম পাবেন। এর ফলে লামার রূপসি পাড়া ইউনিয়নে প্রতিবছর যে হারে সবজি আবাদ বাড়ছে সেটি আগামীতে বন্ধ হয়ে যাবে।’

পাঠকের মতামত: